চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

জনাব মোঃ আক্তার হোসেন
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
- মোঃ আক্তার হোসেন ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে এই জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ৩য় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) ব্যাচের একজন বিশিষ্ট সদস্য এবং তার সার্ভিস আইডি নম্বর ২০০৮২০৩২৪৩। তিনি ১৯৮০ সালের ১ জুলাই কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং শৈশব থেকেই নিজের শিকড়ের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। তাঁর পিতা মোঃ আবদুর রহমান এবং মাতা সাজেদা বেগম—দুজনেই তাকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধে বড় করে তুলেছেন, যা তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের পথচলায় দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
- মোঃ হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি (অনার্স) ও এলএল.এম ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর এই একাডেমিক অর্জন বিচার বিভাগে তার কর্মজীবনের একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করে।
- পেশাগত জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে সিলেট ও নোয়াখালী জেলা জজ কোর্টে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে তার দায়িত্ব পালন উল্লেখযোগ্য। এসব পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহু দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এবং আলোচিত হত্যা, মাদক ও অস্ত্র মামলার বিচারিক নিষ্পত্তি করেছেন। তাঁর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার এবং দক্ষতা তাঁকে বিভিন্ন বিচারিক জেলায় সুপরিচিত করেছে। সিলেট ও নোয়াখালী ছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম, ভোলা, লক্ষ্মীপুর এবং গাইবান্ধা জেলায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সেখানে সততা ও বিচারিক দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
- তাঁর পেশাগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তিনি বহু প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৮৫তম ও ১১৩তম জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্স, ৬২তম বিসিএস অফিসার্স ওরিয়েন্টেশন কোর্স, ১০৪তম সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোর্স, ১৩৬তম রিফ্রেশার কোর্স এবং ১১তম জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরিয়েন্টেশন কোর্স। তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রেক্ষাপট ও চর্চার প্রতি তাঁর আগ্রহের প্রতিফলন।
- বিচার বিভাগে যোগদানের আগে, ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও পাঠদান করেছেন। বিচার ও আইন শিক্ষা বিষয়ে তাঁর আগ্রহ তাঁকে বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনার মাধ্যমে আইন সাময়িকী ও সংবাদমাধ্যমে অবদান রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
- পেশাগত ব্যস্ততার বাইরে মোঃ আক্তার হোসেন একজন ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তি। তিনি টেনিস, ফুটবল এবং ব্যাডমিন্টন খেলায় বিশেষ আগ্রহী এবং এগুলো তাঁর বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির উৎস। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ফুটবল ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন, যা তাঁর জীবন্ত ও বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন।
- মোঃ আক্তার হোসেনের কর্মজীবন নিষ্ঠা, পাণ্ডিত্য ও ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিচার বিভাগ এবং আইন শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান আজও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা তাকে পেশাগত ও একাডেমিক পরিমণ্ডলে একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।